বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় কোন্দলে বিব্রত আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড

বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় কোন্দলে বিব্রত আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড

Bangladesh Awami League - বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

যে কোনো নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া অথবা দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করার ঘটনাকে আওয়ামী লীগ জঞ্জাল হিসেবে দেখছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সতর্ক করা হলেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বারবার। ফলে এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড খুবই বিব্রত। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভরাডুবির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে আওয়ামী লীগ। শনিবার দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার পরিষদের মোট ১৩৩টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ছিল পৌরসভা নির্বাচন। এর তিনটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জিতেছেন।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫৩টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯, বিএনপি ১২, বিদ্রোহী ৭ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৫টিতে জিতেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গুলি, সংঘর্ষ, জাল ভোট দেয়া এবং প্রভাব খাটানোর ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনাও।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন ক্ষমতাসীন দল হিসেবে বেশ কয়েকটি স্থানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হওয়ার কথা ছিল না। তার পরও বিএনপি, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মিলে বলা চলে প্রায় অর্ধেক স্থানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেরেছে। কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাও বিদ্রোহী প্রার্থী এবং দলীয় কোন্দলকে দায়ী করছেন।

নেতাকর্মীদের শঙ্কা কয়েকটি সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বা দলের নেতাকর্মীদের অসহযোগিতা থাকলে তাতেও বিপর্যয় হতে পারে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি যে কয়েকটি স্থানে জিতেছে, তা আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহের ফসল। আমাদের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই বিএনপির প্রার্থীদের জেতাতে সহযোগিতা করেছে’।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আমরা আলোচনা করতে পারি, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও বিএনপি জিতেছে। এখানেও আমাদের লোকেরাই নিজেদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এ বিষয়গুলো কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা হবে। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র: জাগোনিউজ