তরুণরাই পারে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রুখে দিতে

স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরেও স্বাধীনতা বিরোধী দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর এসকল অশক্তিকে তরুণরাই রুখে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ ফাউজুল মুবিন।

একজন তরুণ উদ্যোক্তা বিদেশে থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে তরুণদের নিয়ে কাজ করতে তরুণ রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু যুবলীগে যোগদিতে চান মুবিন। দাদা একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় পরিবারগত ভাবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ওন করে যুবলীগ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। বিদেশে পড়াশোনা করার আগে তিনি ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে দাবি করেন মুবিন।

তার সঙ্গে আলাপ কালে তিনি বলেন,আমি ক্যাডেট কলেজের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও সেই ছাত্র জীবন থেকেই আমার রাজনীতি শুরু। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগে জড়িত ছিলাম। পরে বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন গ্যাপ হয়। আমার দাদা একজন মুক্তিযোদ্ধা । পরিবারগতভাবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ওন করি। সেই সূত্রে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাই।

শেখ মোহাম্মদ ফাউজুল মুবিন বলেন,করোনা কালে প্রথম থেকে যুবলীগের হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে গিয়েছি । বিশেষ করে যারা অর্থহীন, দারিদ্রতা কারণে করোনা প্রতিরোধক সামগ্রী কিনতে পারেন না তাদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এসব জিনিস পৌঁছে দিয়েছি। আমি যেহেতু মেডিকেল প্রফেশনে কাজ করি তাই এইসব জিনিস নিয়ে কাজ করা হয়েছে বেশি। বিশেষ করে আমার এলাকা উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মাস্ক, ঔষধ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মানিকগঞ্জে এলাকায় সাড়ে আটশত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল নেতৃত্বে যুবলীগে কাজ করতে চাই। সে অনুযায়ী আমার কিছু পরিকল্পনাও সাজানো আছে।

যুবলীগের দুর্নাম ঘুচিয়ে সুনামের ধারায় ছুটে চলছে। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং প্রচারণায় আমি কাজ করেছি। সেখান থেকে আমি জেনেছি কোন কোন বিষয়ে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে বুকে ধারণ করেছে সততার ও দক্ষতার কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য প্রধানমন্ত্রী থেকে সেরা। সেই আদর্শ ধারণ করেই আমি কাজ করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমি যদি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও পদে আসতে পারি তাহলে যুবকদের জন্য সোসিও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। যে সকল কাজ করলে দেশ সমাজ এবং যুবকদের উন্নয়ন হবে। সেসব কাজে যুবলীগের উদ্যোগে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যুবলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে যে কোনও সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। এতে করে যুবলীগের উন্নয়ন ও দক্ষতার পারফরম্যান্স দেশবাসীর সামনে উন্মোচিত হবে।

প্রশ্নের জবাবে মুবিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল এর সুফল ভোগ করছে।তাই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে যুবকদের সম্পৃক্ত করে দক্ষ করে গড়ে তুলা হবা। একই নেটওয়ার্কের আওতায় এনে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা যুবলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

কারণ সোশ্যাল মিডিয়া এখন অনেক আপডেট প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন । তাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবর পৌঁছে যায়।

তাই ডিজিটাল পলিটিকাল ক্যাম্পেইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা যাবে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও যুবলীগের সততা নিষ্ঠা ও উন্নয়নের বিষয়গুলো। এতে করে বিশ্বের সাথে কানেক্টিভিটি আরো ভালো হবে। এর ফলে দেশের মানুষ জানতে পারবে যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কি কি ভালো কাজ করে যাচ্ছে এবং কাদের জন্য করা হচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী আপনার কোনও ভূমিকা ছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ক্যাম্পেইন করেছি। জাতির স্বপ্নদ্রষ্টার সারাজীবনের যে সিগনিফিকেন্ট বিষয়গুলো, খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা। বিশেষ করে ৫২এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ ছয় দফা,৬৯ গণঅভ্যুত্থান , একাত্তরের মহান স্বাধীনতা, স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের সংবিধান তৈরি করা, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে মাথা তুলে দাড় করানো। এই সিগনিফিকেন্ট বিষয়গুলোর নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ক্যাম্পেইন করে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানা ছিলো তা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরছে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয় করে ক্যাম্পেইন করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে, দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। এখান থেকে শিক্ষণীয় মূল তথ্য গুলো বেরিয়ে এসেছে।

রাজনীতিতে আপনার দীর্ঘ গ্যাপ ছিলো সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কেউ কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে নিয়ে কটূক্তি করা শুরু করেছে। মূলত তারা চায় না যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমি আসি। যারাই এগুলা পিছনে ছুটছে এর কোনও ভিত্তি নেই এগুলো তথ্যবিহীন। সম্পূর্ণভাবে আমাকে হেয় করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্য করে এগুলো করা হচ্ছে।

মোহাম্মদ ফাউজুল মুবিন বলেন,আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের অনেক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এটাও সত্য যে আগামীতে দেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে নির্মাণ করা হবে। এখনো কিছু দেশ দ্রোহী, স্বাধীনতা বিরোধী অশক্তি বিএনপি-জামাত শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর আছে। সেসকল অশক্তিকে তরুণরাই রুখে দিতে পারে। আমি একজন যুবক হিসাবে যুবলীগকে আদর্শ সংগঠন মনে করেই, যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাই। বর্তমানে যুবলীগের দুই কর্ণধার বেশ তৎপর হয়ে যুবকদের সম্পৃক্ত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকে যুবলীগকে আমি আইডল মনে করি এবং আশা করি পার্টিসিপেট করতে পারবো।