আবুল হোসেন আকল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছাত্রলীগ সেক্রেটারী

আবুল হোসেন আকল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ছাত্রলীগ সেক্রেটারী

আগামী মে মাসেই ছাত্রলীগের সম্মেলন

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতের উপজেলা সভাপতি হাজী আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা শহর থেকে সাইফুল ইসলাম রুবেলকে আটক করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে.এম আজমিরুজ্জামান বলেন, এ মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে। মামলাটির তদন্তের স্বার্থে অনেকই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরমধ্যে উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগের এ নেতাকেও আটক করার কথা শুনেছি। তবে বিষয়টি পুরোপুরি ডিবি পুলিশ বলতে পারবে।

১ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে আবুল হোসেন আকল মিয়া নিজ বাসা থেকে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাল্লা রোডস্থ আল মদিনা মসজিদে যাওয়ার পথে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। ২ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহতের ছেলে নাজমুল ইসলাম বকুল বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬ জনের নামে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আসামীরা হলেন, ব্যবসায়ী রঞ্জন পাল, পৌর কাউন্সিলর চন্দনা গ্রামের কুতুব আলী ও মা ভেরাইটিজ স্টোরের মালিক জসিম উদ্দিন শামীম এবং সিএনজি চালক সুমন মিয়া।

এদিকে পুলিশ ঘটনার দিন সকালে একটি সিএনজি শহরের সতং রোড এলাকা থেকে উদ্ধার করে। সিএনজিটি আটকের দুই দিনের মাথায় চালক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। সিএনজিটি সুমনের ভাড়াকৃত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার বাদী নাজমুল ইসলাম বকুল বলেন, তার পিতা চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও আহলে সুন্নাতওয়াল জামাত উপজেলার সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন যাবত একজন বিশিষ্ট মুরব্বী হিসাবে বিভিন্ন শালিস বিচারে বিচারকের ভুমিকা পালন করে আসছিলেন। তার পিতার চুনারুঘাট বাজারে আল মদিনা মার্কেট, স’মিলসহ বিভিন্ন দোকান ঘর ও জমি রয়েছে।