ভোটের হাওয়ায় সরগরম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

ভোটের হাওয়ায় সরগরম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

Gazipur City Corporation

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ৩১ মার্চ। তার আগেই ভোটের হাওয়ায় সরগরম গাজীপুর সিটি। ভোটের দৌড়ে উভয় দলের রয়েছে একাধিক প্রার্থী। এর ফলে মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি কোনো দলই।

মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগ থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি থেকে বর্তমান মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরও যারা রয়েছে তারা হলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটির প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. কামরুল আহসান সরকার রাসেল।

বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাসানউদ্দিন সরকার।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন প্রচার। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন তারা। একেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী তার পছন্দের মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। চলছে জেলা ও মহানগর কমিটির সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা।

গাজীপুরে বরাবরই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। তবে গত নির্বাচনে মেয়র পেয়েছে বিএনপি।

বর্তমান মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান দীর্ঘদিন কারাবাস, ত্রিশ মামলায় আসামি হওয়াসহ নানা কারণে দলে আগের চেয়ে অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচিত হওয়ার পর গত চার বছরের প্রায় দুই বছর তাকে থাকতে হয়েছে কারাগারে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৩০টি মামলা করা হয়েছে।এমএ মান্নানকে তিনবার সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। অবশ্য তিনবারই সাময়িক বরখাস্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে তিনি মেয়রের চেয়ারে বসেন।

গাজীপুরের মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেবে কি দেবে না সেটি নির্ধারণ করবে আমার দল বিএনপি। যদি দলীয় সিদ্ধান্ত হয় আমাকে নির্বাচন করার জন্য, তবে আমি নির্বাচন করব।

তাছাড়া বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করবেন সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাসানউদ্দিন সরকার। এরই মধ্যে হাসানউদ্দিন সরকার বিভিন্ন আলোচনা সভায় বৃহত্তম এই সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করে দুটি সিটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সরকারের প্রতি।

এ ছাড়া বর্তমান মেয়র এমএ মান্নান কোনো কারণে নির্বাচনে প্রার্থী না হলে আরও কয়েকজন দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী অ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান। তিনি দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং টঙ্গী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গত নির্বাচনে মেয়র পদে তিনি হেরে গেলেও দলকে আরও সুসংহত করতে নির্বাচনের পর সব সময়ই রাজনীতির মাঠে ছিলেন।

দলীয় সূত্র মতে, গাজীপুরে আজমতউল্লাহ খান ও জাহাঙ্গীর আলম দুজনই আওয়ামী লীগের সম্ভাবনাময় মেয়র প্রার্থী। এদের একজন দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণও দলীয় মনোনয়ন পেলে মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে জানান তিনি।

মহাজোটের শরিক মহানগর জাসদ নেতা রাশেদুল হাসান রানাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চান মর্মে তার সমর্থকদের পক্ষ থেকে তোরণ স্থাপন ও পোস্টার লাগানো হয়েছে অলিগলিতে।

নির্বাচনী প্রচারে কাউন্সিলর প্রার্থীরাও রয়েছেন মাঠে।