সারারাত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুকে অত্যাচার হ্যাকিং পোস্ট উধাও

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক পেজ হ্যাকের অভিযোগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, আমার ফেসবুকের উপর অত্যাচার হয়েছে সারারাত। হ্যাকিং। পোস্ট উধাও। বুঝতেই পারছেন এই বিনিয়োগ কারা করেছে।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল সোমবার তাঁর এই পেজে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্টের ফটোকপি এবং যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে তাঁর জমা দেয়া আবেদনের একটি কপি পোস্ট করেছিলেন। এসব কপি হ্যাক করা হয়েছে এবং তা উধাও হয়ে গেছে বলে প্রতিমন্ত্রী তাঁর পেজে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২১ এপ্রিল লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন।এ বক্তব্যের পর লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান গতকাল সোমবার প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে আইনি নোটিশ পাঠান। তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ওই নোটিশে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন। নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে শাহরিয়ার আলম জাতির কাছে বা তাঁর কাছে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশের ঘটনা প্রকাশ হলে সোমবার বিকেলে গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-কন্যা তাঁদের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমর্পণ করেছেন। সেখান থেকে ওই পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। পাসপোর্টগুলো এখন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেখানে রক্ষিত আছে।শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, নোটিশ দেয়ার কথা শুনে খুশি হয়েছি। বিএনপির যে আইন-আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে, সেটা জেনে ভালো লাগলো। নোটিশ হাতে পেলে জবাব দেব।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০০৮ সালে তারেক রহমান পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। তখন মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরপর তিনি আর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেননি। ২০১৪ সালের ২ জুন তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সপরিবারে পাসপোর্ট জমা দেন। সেখান থেকে তা বাংলাদেশের হাইকমিশনে আসে।এই সংবাদ সম্মেলনের পর তারেক রহমানের পাসপোর্ট এবং আবেদনের কপি ফেসবুকে পোস্ট করেন শাহরিয়ার আলম। গতকাল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনের সঙ্গে সেগুলো প্রকাশ করে।তবে এখন আর তার পেজে এসব দেখা যাচ্ছে না।