মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে খালেদা জিয়া

কারাগারে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে দাবী করেছেন বিএনপি। অনতিবিলম্বে তাকে তার পছন্দের হাসপাতাল ইউনাইটেড অথবা অ্যাপোলোতে স্থানান্তরের দাবি জানান বিএনপি এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় আটক হওয়ার পর আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখে সমস্যা হয়েছিল। তখন ওনার পছন্দের হাসপাতাল স্কয়ারে নেওয়া হয়েছিল এবং তার পরে তিনি বিদেশেও গেছেন চিকিৎসা করাতে। আমরা প্রশ্ন হচ্ছে যে, আজকে দেশে উনি (খালেদা জিয়া) যে চিকিৎসা চাচ্ছেন, যেখানে যেতে চাচ্ছেন, সেখানে তাকে নেওয়া হচ্ছে না কেন? কেন এ বিলম্ব করা হচ্ছে? আমাদের বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, বিলম্ব হলে তার অনেক ক্ষতি হতে পারে।’

‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার স্বাস্থ্যের ক্রমেই অবনতি ঘটছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি আমরা বার বার বলছি, গুরুত্বসহকারে বলছি। আমাদের একটা উচ্চ পর্যায়ের ডেলিগেট টিম হোম মিনিস্ট্রিতে পাঠিয়েছিলাম যেটার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।’

‘সেখানে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। হোম মিনিস্টার কনভিন্সড যে, খালেদা জিয়াকে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সে জন্য তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) সাথে সাথেই বিএনপির ডেলিগেট টিমের উপস্থিতিতে আইজি প্রিজনকে ডেকে নিয়ে এসছিলেন। ডেকে আনার পর উনি বলেছিলেন, যা যা করা দরকার আপনারা করুন।’ফখরুল বলেন, ‘আমরা যতদূর শুনেছি, তার পরে তারা ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে যাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হয় সেই জন্য তারা রিকমান্ড করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছেই সেই ফাইল পড়ে আছে। এই সিদ্ধান্তহীনতার কারণে প্রতিদিন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে।’

‘আমরা আশা করব সরকারের বোধোদয় হবে। অবিলম্বে, অবিলম্বে একদিনও দেরি না করে তারা (সরকার) দেশনেত্রীকে তার পছন্দের হাসপাতালে পাঠাবেন। অন্যথায় সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে’বলেন বিএনপির মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদসু সালাম, জয়নুল আবদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী প্রমুখ।