সব চেষ্টা ব্যর্থ; অবশেষে চলেই গেলেন রোজিনা

রাজধানীর বনানীতে বাস চাপায় পা হারানো রোজিনা আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন। রোববার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। রোজিনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইসিইউ এর প্রধান অধ্যাপক ডা. মোজাফফর হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হলো। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি কিন্তু রোজিনাকে বাঁচানো গেল না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) রোজিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালামকে প্রধান করে ৯ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খব পেয়ে ঢামেকে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রজিনার বাবা কৃষক রসুল মিয়া। ছয় মেয়ে আর এক ছেলের মধ্যে দুর্ঘটনায় পা হারানো রোজিনা ছিল দ্বিতীয়। তিনি জানান, সংসারে অভাব ঘোচাতে ছোট বয়সেই রোজিনাকে গৃহকর্মী হিসেবে ঢাকায় পাঠান। তারপর থেকেই সংসারের হাল ধরেন রোজিনা। অথচ সংসারের সেই হাল ধরা ‘ছেলে রোজিনা’ই আর নেই।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রাধীন বিআরটিসি’র (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৫৭৩৩) ডাবল ডেকার বাস রোজিনা আক্তারকে ধাক্কা দেয়। রোজিনা পড়ে গেলে বাসটি তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে রোজিনার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পথচারীরা উদ্ধার করে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অর্থোপেডিক হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসার পর বুধবার (২৫ এপ্রিল) রোজিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। গৃহকর্মী রোজিনা জিটিভির এডিটর-ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাসায় কাজ করতেন।