খালেদা বিহীন বিএনপির ইফতারে প্রাণ নেই

খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় এবার আর জমছে না বিএনপির ইফতার রাজনীতি। পুরো রমজান মাসে এবার মাত্র তিনটি ইফতার মাহফিল আয়োজন করছে দলটি। পাশাপাশি জোট শরিকদের কয়েকটি ইফতার মাহফিলে যোগ দেবেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং থেকে জানানো হয়েছে, আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এ বছরও প্রথম রোজায় এতিম ও ওলামা মাশায়েখদের সম্মানে ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছে বিএনপি। শুক্রবার (১৮ মে) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এই ইফতার মাহফিলে অংশ নেবেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সঙ্গত কারণেই এ বছরের এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারছেন না দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

একই স্থানে শনিবার (১৯ মে) দ্বিতীয় রোজায় থাকছে রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিল। এরই মধ্যে এই ইফতার মাহফিলের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজনীতিবিদদের হাতে।

বিএনপির মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছেন।

বিএনপি আয়োজিত তৃতীয় ইফতার মাহফিলটি কূটনীতিকদের সম্মানে। রোববার (২০ মে) তৃতীয় রোজায় এই ইফতার আয়োজিত হবে হোটেল ওয়েস্টিনে। কূটনীতিকদের হাতেও এরই মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণপত্র।

আগের বছরগুলোতে এই তিনটি ছাড়াও পেশাজীবীদের সম্মানে ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছেন খালেদা জিয়া। গত বছর শুধু সম্পাদকদের সম্মানেই আলাদা ইফতার মাহফিল আয়োজন করেন তিনি। এ ছাড়া গুম হওয়া পরিবারের জন্য গত দুই বছর ধরে আলাদা ইফতার মাহফিল আয়োজন করে আসছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। কেবল কেন্দ্রীয় বিএনপি নয়, ঢাকা মহানগর বিএনপি, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও একাধিক ইফতার মাহফিল আয়োজন করত।

কিন্তু এ বছরের পরিস্থিতি ভিন্ন। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় বিএনপির ইফতার মাহফিলের ‘রাজনীতি’ কাট-ছাঁট করা হয়েছে। চেয়ারপারসনকে কারাগারে রেখে ইফতার পার্টি আয়োজনে কোনো বাড়াবাড়ির দিকে যাচ্ছে না বিএনপি। যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকুই করছে দলটি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী কারাগারে। গোটা দেশ দুঃশাসনের কবলে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে বা গতিতে করা সম্ভব হয় না। তারপরও দলের পক্ষ থেকে তিনটি ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হচ্ছে। অন্য দলের ইফতার মাহফিল, বিশেষ করে জোট শরিকদের ইফতার মাহফিলে বিএনপির নেতারা শরিক হবেন।’

খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দল বরাবরের মতোই ইফতার মাহফিল আয়োজন করছে। তাদের এই ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন।