পুলিশের সহযোগিতায় নৌকায় সিল মারছে ছাত্রলীগ : রিজভী

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পুলিশ ও ডিবির সহযোগিতায় ছাত্রলীগ নৌকা মার্কায় সিল মারছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভীর দাবি, ‘পুলিশ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে বলছে, গণমাধ্যমকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গণগ্রেফতার, কেন্দ্র দখল ও ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট বের করে দিয়ে চলছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ডিবি পুলিশ ধানের শীষের এজেন্ট ও কেন্দ্র কমিটির সদস্যদের গণহারে গ্রেফতার করছে। সকাল ৬টা থেকেই শুরু হয় পুলিশের এই গণগ্রেফতার।’

বহিরাগতরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গতকাল সোমবার রাত ৮টায় ২নং ওয়ার্ড কাশিমপুর ইউনিয়নের পানিশাইল এলাকায় সাভার পৌরসভার আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র আব্দুল গণি দুই শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।

মুন্সিপাড়া ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেসে সারারাত ব্যালট পেপার ছাপিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে গেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি আরও বলেন, আজ শ্রমিক দলের জেলা দফতর সম্পাদক বজলুর রহমান বাদল, বালু চাকুলী ভোটকেন্দ্রের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. ফজলুকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

তিনি জানান, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আঞ্জুমান হেদায়েতুল উম্মত কেন্দ্র এজেন্ট হাবীবুর রহমান, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড টিডিএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের এজেন্ট ফারুক, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম জি.কে আদর্শ উচ্চ বিদ্যলয় কেন্দ্র এজেন্ট সেলিম রেজা, বিএনপি নেতা মানিক, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহারা খাতুন কিন্ডারগার্টেন কেন্দ্রের এজেন্ট মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র থেকে সাবেক কমিশনার শরিফ মিয়াকে, ৩৪ নং ওয়ার্ডের শরিফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মনির হোসেন মোতাহার, ৩৬ নং ওয়ার্ডের গাছা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ধানের শীষের এজেন্ট গাজীউল হক ও মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তিনি জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডে চারটি কেন্দ্র, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি কেন্দ্র দখল করে ভোট দিয়েছে নৌকার সমর্থকরা।