“গাজীপুরে কোনো নির্বাচন হয় নাই পরিষ্কার হয়ে গেছে”

মওদুদ আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদু আহমদ বলেছেন, গাজীপুরে কোনো নির্বাচন হয় নাই। শত প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর পরেও যারা পত্রিকা পড়েছেন তারা দেখেছেন, পরিষ্কার হয়ে গেছে যে গাজীপুরে কোনো নির্বাচন হয় নাই।কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না সেটা প্রমাণ করতেই খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। আসন্ন ৩ সিটিতেও অংশ নেবে। এই তিন সিটি নির্বাচনের পর দলটি নতুন করে চিন্তা করবে যে আর কোনো সাধারণ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে করবে কি না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে শুক্রবার দুপুরে ‘মুক্তি বারতা তোমার হাতে দেশমাতা খালেদা জিয়া’ গানের সিডি উদ্বোধন ও তার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি আয়োজন করে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি অগ্নি পরীক্ষার মধ্যে আছে, ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে। এর চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের ভাগ্যে স্বাধীনতার পর আসে নাই। সেই চ্যালেঞ্জটা হল বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের সম্মুখে শুধু বিএনপি নয়, সারা বাংলাদেশের সকল শ্রেণির ও দলের মানুষ। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া।

আওয়ামী লীগ বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্ব করার চেষ্টা করছে দাবি করে এই আইনজীবী বলেন, বিলম্বিত হলেও বেগম জিয়া আমাদের মাঝে খুব শিগগির ফিরে আসবেন। তিনি মুক্তি পাবেন, এই মুক্তি বন্ধ করতে পারবেন না।

বিএনপি এই নেতা বলেন, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি নির্বাচন যদি খুলনা এবং গাজীপুরের মত হয় তাহলে আমাদের তখন নতুন করে চিন্তা করতে হবে যে সাধারণ নির্বাচন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন করবো কি করবো না। এটা আমাদের সিধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, খুলনার পরে আমরা গাজীপুর নির্বাচনে গিয়েছিলাম দেশের মানুষকে জানাতে, যে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না, সুষ্ঠু এবং অবাধ হতে পারে না। এটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, এই তিনটি নির্বাচনই হবে সাধারণ নির্বাচনের আগে শেষ নির্বাচন। দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয় না সেটা প্রমাণিত করার জন্যই এই নির্বাচনগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করছি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও কণ্ঠ শিল্পী মনির খান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম রানা প্রমুখ।