আমাদের লক্ষ্য ক্ষমতা ভোগ নয়, জনগণের সেবা: প্রধানমন্ত্রী

২০০৭ সালে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সময় আমাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নের চক্রান্ত চলছিল। আমি জেলখানায় ছিলাম, ক্ষমতায় গেলে দেশ-জনগণের উন্নয়নে কী করতে হবে সেসব ইশতেহারের পয়েন্ট আমি লিখে রাখি। এরপর তা নির্বাচনের সময় দিনবদলের ইশতেহারে যোগ করি। আমরা রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য ক্ষমতা ভোগ করা নয়, জনগণের সেবা করা। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ গৃহীত এমডিজি ( মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস) ২০১৫ সালে শেষ হয়। এমডিজিতে আমরা অংশ নিই, সেখানেও আমরা সফলতা দেখিয়েছি। এরপর জাতিসংঘ এসডিজি (সাসটেইন ডেভেলপমেন্ট গোলস) গ্রহণ করে। সেখানেও আমরা অংশ নিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য এসডিজি বাস্তবায়ন করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ যখনই কোনো উদ্যোগ নিয়েছে আমরা সেটাকে গ্রহণ করেছি এবং সফলতা দেখিয়েছি। অনেকে বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। কিন্তু বাংলাদেশ পেরেছে, পারবে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে সুখি-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরে মধ্যেই দেশ উন্নত হতো। কিন্তু দেশ সেই সুযোগ পায়নি।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পথ-প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করি। আর আপনারা দক্ষতার সঙ্গে সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

’বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট দিয়েছি। ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার কর্মসম্পাদন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এখন এগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।’