কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই রকম কথা বলছেন: মওদুদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বত:স্ফূর্ত একটা আন্দোলন। এতে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। প্রধানমন্ত্রী ১১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে। আমরা শুনে তার প্রশংসা করেছিলাম। কিন্তু ২৭ জুন তিনি আবার একই সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন কোটা পদ্ধতি থাকবে।

কোটা নিয়ে তিনি দুই রকমের কথা বলছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাই, তিনি যে কথা বলেছেন তা রক্ষা করেন।বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে সরকারের সমঝোতায় আসতে হবে। বিএনপি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব না। আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সেদিন হবে যেদিন খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন।

তিনি বলেন, খুলনা এবং গাজীপুরের নির্বাচনের মাধ্যমে এই কমিশনের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। আমরা বারবার বলছি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে এবং এই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও আমাদের চ্যালেঞ্জ এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক একটা জাতির জন্য আর কি হতে পারে? তাহলে কি এটা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র ? জাতি কি তাহলে ব্যর্থ হয়ে গেল? আজকে যে সংকট তা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই মজবুত হবে। আমাদের এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বদলীয় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের উচ্চতম আদালত যেখানে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছেন সেখানে নানা কৌশলে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে সেই আদেশকে অকার্যকর করে দেওয়ার জন্য আজকে নিম্ন আদালতের একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ম্যাজিস্ট্রেট কে? এই ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী বিভাগের অধীনে কাজ করেন।