শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে: আমু

ইতোমধ্যে ৭ শতাংশেরও বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতায় ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করে সীমানাহীন বাংলাদেশ সীমানা নির্ধারণে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে সীমানা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা পেয়েছে।’

যারা আদমজীর মতো ঐতিহ্যবাহী পাটকল বন্ধ করে দিতে পারে, তারা পুনরায় ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানাগুলো বন্ধ করে দেবে বলে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করেন।

১১ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে ‘মহান বিজয় দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান আমির হোসেন আমু। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম, বিসিক চেয়্যারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, বিটাক মহাপরিচালক ড. দিলীপ কুমার শর্মা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আমিনুল হক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক বক্তব্য রাখেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি সফলভাবে সমাপ্ত করতে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের বর্তমান চিত্র দেখলে মনে হয়, বার বার হত্যা চেষ্টা সত্ত্বেও মহান আল্লাহ্ তায়ালা বাংলার জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একটি নির্দেশনায় গোটা নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস ও নেতৃত্বের দৃঢ়তার ফলে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।’

আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, তখনই বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর অসৎ উদ্দেশে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চাকাকে পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল।

বিজয়ের সুফল ভোগ করতে হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত নয় বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। জনগণের মাথাপিছু আয় ৫২৯ ডলার থেকে ১৬১০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩৭০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ বিলিয়ন থেকে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।’

তিনি বলেন, খাদ্য আমদানির দেশ থেকে বাংলাদেশ খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছে।

আগামী নির্বাচনে গ্রামের গরিব মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে দৃঢ়তার সাথে কাজ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।