কোটা আন্দোলনে ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’ পেয়েছেন ঢাবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা

কোটা আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে একটি বিশেষ মহল ফায়দা লুটতে এই ষড়যন্ত্র করেছিল।

বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।

আজ রোববার বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের প্রধান ফটকের সামনে ‘সচেতক শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই দাবি করেন আওয়ামীপন্থী এই শিক্ষক।

মাকসুদ কামাল বলেন, ১৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বট তলায় দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক আকমল হোসেন অপ্রাসঙ্গিক ভাবে বলেছিলেন শেখ হাসিনা কি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? শেখ মুজিব কি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না, যে নেতা সাংবিধানিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। সেই নেতার বিরুদ্ধে যখন বলা হয় তখন বুঝতে হবে এরা কারা।

তিনি আরো বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি অন্যায়ভাবে কারাগারে থাকে, তাকে আর একটি দিনও যেন কারাগারে না থাকতে হয়। পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে তাদের ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করুন। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে যে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো আছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করুন।

তিনি বলেন, যারা ছাত্রদের উস্কে দিচ্ছে ক্লাসে না যাওয়ার জন্য, ছাত্রদেরকে দিয়ে অন্য শিক্ষকদের নিপীড়ন করছে। সেই শিক্ষকদের আহ্বান করি আপনারাও আসুন আমরা আলোচনা করে মর্যাদাশালী এই বিশ্ববিদ্যালয়কে মর্যাদার জায়গায় রাখি। আপনারা ছাত্রদের জীবন নষ্ট করবেন না। তাদের প্রতি যদি আপনাদের ভালবাসা থাকে তাহলে তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনুন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে দেয়া হবে না। আমাদের কিছু শিক্ষক বিভ্রান্তকর তথ্য প্রচার করছেন। তাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করেছেন। এসব কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। আমাদের ক্যাম্পাস নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী আমাদের মাননীয় উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়েছেন। আমরা তাদের বলতে চাই আপনারা আদালতে থাকুন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নাক গলাবেন না। আমরা বর্তমান উপাচার্যের অধীনে ভাল আছি। তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে।

বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট শফিউল আলম ভুঁইয়া বলেন, কোটা আন্দোলনকে সমর্থন করি। সরকারও তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। তাহলে কেন এই আন্দোলন হচ্ছে? আমার মনে হয় কোন তৃতীয় শক্তি এই আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই মিলে একটি পরিবার।

পরিবারের কোন সমস্যা হলে আমরা তার সমাধান করব। শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলন করছে। এটি একটি যৌক্তিক আন্দোলন। আমরা এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। সরকারও তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার একটি কমিটি করে দিয়েছে। তারপরও একটি মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।