দেশের উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘দেশের উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা একান্তভাবে প্রয়োজন, তা আজ প্রমাণিত। টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ফলে বাংলাদেশের উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হয়েছে। আজকে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আরও এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’

নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ মঙ্গলবার তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটা পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ধারণ হবে। এসময়, সরকারের উন্নয়ন কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা এবং মানুষ তার সুফল পাচ্ছে কিনা, তা তদারকি করতে হবে জেলা প্রশাসকদের।

তিনি আরও বলেন- আজকে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে, সেই আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশকে আর্থসামাজিকভাবে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো। তার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদেরও বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে, যেন পিছিয়ে না পড়ে দেশ। বাজেটের টাকায় উন্নয়নকাজ চলছে। সরকারের এসব উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে তদারকি হবে। দেশের সম্পদ কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্যকে জয় করতে হবে। তৃণমূলে মানুষের সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী কৌশল কাজে লাগাতে হবে।

এর আগে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন- দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অনেক। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ১৮টি অধিবেশনের মাধ্যমে আপনারা মাঠ পর্যায়ের সমস্যা এবং সম্ভাবনার কথা নীতি-নির্ধারণীর পর্যায়ে সরাসরি তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা, নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হান্নান ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান।

জানা গেছে, তিন দিনের এই সম্মেলনে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে পাওয়া মোট ৩৪৭টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আর সম্মেলন শেষে এ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৬৪ জেলায় কর্মরত জেলা প্রশাসক এবং আট বিভাগীয় কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন চলবে ২৬ জুলাই পর্যন্ত।