ফোনালাপটা থাকলে রাজনীতিতে সৌজন্যবোধটা টিকে থাকেঃকাদের

ফোনালাপ থাকলে রাজনীতিতে সৌজন্যবোধটা টিকে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যৌথসভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন: সম্প্রতি আমার সঙ্গে অনেক নেতারই ফোনে কথা হয়েছে। আমি বলবো অন্তত ফোনালাপটা থাকলেও রাজনীতিতে সৌজন্য বোধটা টিকে থাকবে। এর মধ্যে আমার সঙ্গে কর্নেল অলি, মেজর মান্নান, আ স ম আব্দুর রবের ফোনে কথা হয়েছে। তারা তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশের ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমি বলবো রাজনীতিবীদদের মাঝে যদি এ চর্চাটা থাকে তাহলে অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান সম্ভব।

এসময় তিনি বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে বলেন : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখনও আমাকে ফোন করেননি। আমার মা মারা যাবার পর মিডিয়াতে একটি শোকবার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু, তার মা যখন মারা গেলেন আমি শোকবার্তাও দিলাম আবার ফোনেও তার সঙ্গে কথা বলে সান্ত্বনা জানালাম। তাদের আর আমাদের মধ্যে এটাই পার্থক্য।

ফোনালাপ তৈরী করা যায় বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে কাদের বলেন: তারা ফোনালাপ তৈরী করতে পারে। আবার অস্বীকারও করতে পারে। বিএনপির এধারা পুরাতন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বলেন: বিএনপি এখন চক্রান্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মানুষ এখন ইলেকশন মুডে রয়েছে। তাদের আন্দোলন নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই। তাদের রাজনীতি ছদ্মবেশী বিদ্বেষ প্রসূত রাজনীতি। এ ছদ্মবেশী বিদ্বেষ প্রসূত রাজনীতি করে জনসমর্থন পাওয়া যাবে না।

আজ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) রাজনৈতিক অফিস তোপখানা রোডে যান ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ বৈঠকের পেছনে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলে: সিপিবি’র সঙ্গে এটি সৌজন্য সাক্ষাত। ৭৫’র পর আমরা একসঙ্গে জাতীয় ছাত্রলীগ করতাম। এটা সৌজন্যতার অংশ। এখানে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য নেই।

নির্বাচন সামনে জোটের পরিধি বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন : রাজনৈতিক জোট থাকলে তার পরিধি বাড়া স্বাভাবিক। সেটা কিভাবে হয় এটা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ইলেকশনের দিকে যতো যাবে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের ততো পরিবর্তন হবে।

এসময় শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: গতকালের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আজকের এ সভা। মূলত জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি। তারা যেন নিজেরা নিজ নিজ জায়গা থেকে কর্মসূচি গুলো পালন করতে পারে।
অাগস্টে শেখ কামাল, ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন রয়েছে। ১৫ আগস্ট,২১ আগস্ট রয়েছে। এ উপলক্ষে ২১ আগস্ট পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, ২৬ আগস্ট বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এসময় তিনি শোকের মাসকে সামনে রেখে যেন কেউ চাঁদাবাজি না করতে পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক করেন। কাদের বলেন : শোকদিবসের গাম্ভীর্য্য বজায় রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে। কেউ যেন চাঁদাবাজি করতে না পারে। সকলে যেন এটা স্মরণে রাখে স্মরণের নামে যেন কোন অপকর্ম না করে। আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে চাঁদা ধরবো। এর বাইরে যেন কোন চাঁদার ঘটনা না ঘটে। ঘটলে, সরাসরি আমাদের অফিসে ফোন করার জন্য অনুরোধ করবো। এতে জাতীর পিতার আত্মা কষ্ট পাবে।

যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ সহযোগী সংগঠন এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ।