ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয় : কাদের

দায়িত্ব পালন কালে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয় দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগকে অপবাদ দেয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়েছে। এখনও তারা ভালো ভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি। ঘটনার দিন এই এলাকার ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী ছিল না।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, সেই দিন ৪৬ জন আমাদের লোক আহত হয়েছে। এরা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তারা এ পার্টি (আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতি কার্যালয়) অফিসেরই বিভিন্ন উপ-কমিটিতে দায়িত্বে রয়েছেন। বিএনপি ছাত্রলীগের উপর কলঙ্ক চাপিয়ে দিচ্ছে। যারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায় তারা টার্গেট করে সাংবাদিকদের। পৃথিবীর বহুদেশে এমনটা হয়।

সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত থাকলে আমাদের প্রমাণ দিন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। যেই জড়িত থাক কোন অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। বিচারের মুখোমুখি হতে আমাদের ভয় নেই।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন আইন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই সড়ক পরিবহন আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকে না। ৩৫ বছর পর একটা অধ্যাদেশ আইনে উত্তরণ হতে যাচ্ছে। ৮৩ সালের এ আইনে শাস্তি ছিল না বলতে গেলেই চলে। সেটা অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে কিছু মাত্র সহায়ক ছিল।

সড়ক পরিবহন আইনে যদি ডেলিভারেড কিলিং হয় আর এটা প্রমাণিত হয় তাহলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। যারা সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর বলছেন তারা আংশিক সত্য বলছেন। ডেলিভারেড কিলিং হলে প্যানাল কোর্টে ৩০২ ধারায় এটা চলে যাবে।

রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির কাগজ-ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার কাজ ৭ বছর আগে আমিই শুরু করছি। সকলের সহযোগিতা পেলে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল। যার কারণে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হয়েছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, আইনটি নিয়ে এখনও কথা বলার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত মনে করে যারা কথা বলছেন তাদের বলবো,পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এখানে লক্ষ্য করছি। কোন তৃতীয় পক্ষ যেন এখানে ঘৃণ রাজনৈতিক খেলা না খেলতে পারে সেজন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করছি।

শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আগামী রোববার রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজর সামনে আন্ডারপাসের কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, একনেক বৈঠকে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন ন্যাম ভবন থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত এবং বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে হযরহ শাহজালাল বিমান বন্দরের মূল কমপ্লেক্স পর্যন্ত দুইটি ওভারপাস নির্মানের নির্দেশ দিয়েছেন।