‘আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবোই’

আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনাদের কাছে ফরিয়াদ করতে চাই। আমাদের মাতা, গণতন্ত্রের মাতাকে আর কারাগারে দেখতে চাই না। তাকে কারাগারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ুন। বুকে হাত দিয়ে বলুন, বাংলাদেশকে মুক্ত করবোই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবোই। দেশকে স্বাধীন করবোই।’

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে খালেদা জিয়ার সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, সকল রাজবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, ইভিএম বাতিল করতে হবে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’

সকল বিভেদ ভুলে দেশের প্রয়োজনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এখন আর কোনো বিভেদ নয়। দেশের প্রয়োজনে আসুন সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হই। দেশকে মুক্ত করি, গণতন্ত্রকে মুক্ত করি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ দেউলিয়া রাজনৈতিক দল হয়ে গেছে। তারা আগে বড়াই করে বলতো- যুবসমাজ তাদের সঙ্গে আছে। আর আজ শিশু-কিশোররাও দিন গোনে কখন সরকারের পতন হয়।’

ফখরুল বলেন, ‘সরকারের প্রত্যেকটা নেতা রাতে ঘুমোতে পারে না। এই বুঝি খালেদা আসলো, তারেক রহমান আসলো। ২৪টা ঘণ্টা তারা বিএনপি ভিতির কারণে ঘুমোতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সারাদেশে বিএনপির প্রতিটা নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ রেট দিয়েছে। আজ সারাদেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে বাধা দিয়েছে। এই সরকার আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মন্ত্রীরা বলা শুরু করেছে তাঁর সাজা হবে। তাহলে কি তারা বিচার বিভাগের দায়িত্ব নিয়েছে।’

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, আলতাব হোসেন চৌধুরী, জয়নুল আবদিন, বেগম সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম  জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, তৈয়মুর আলম খন্দকার, ফরহাদ হালীম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম তোফা প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, কামরুল ইসলাম সজল, মো. মতিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরীন খান, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।