আপনারা না খেললে ফাঁকা মাঠে তো গোল দিবই: বিএনপিকে নাসিম

মোহাম্মদ নাসিম

বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘২০১৪ সালে আপনারা মাঠে খেলেন নাই। আমরা কি করবো। মাঠে না খেললে তো ওয়ার্ক আউট হবেই। এবারও যদি মাঠে না খেলেন তাহলে তো আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিব। খেলার যেমন নিয়ম আছে, নির্বাচনী খেলারও নিয়ম আছে। হঠাৎ করে তা পরিবর্তন করা যায় না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।’

‘নির্বাচনী খেলায় যে দল জিতবে তারা সরকার পরিচালনা করবে। ওরা (বিএনপি) চায় এমন নিয়ম করতে হবে যাতে তারা জিততে পারে। ওদের ইচ্ছা মতো নিয়ম পরিবর্তন করা যাবে না।’

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে ‘৩৬তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকগণের যোগদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার পার পাবে না’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সংবিধান মানে না তারা একথা বলতে পারে। আমরা সংবিধান মানি। সংবিধানের দোহাই সবসময় দিব। সংবিধান পবিত্র দলিল। সংবিধানের আলোকে দেশ পরিচালিত হয়।’

‘সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন করা যাবে’- বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এ মন্তব্যের সমালোচনা করে নাসিম বলেন, ‘সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন করার মানে হচ্ছে দেশে অসাংবিধানিক সরকার আনা। উনি একথা বলতে পারেন। কারণ উনি এ ব্যাপারে অভ্যাস্ত, তিনি মার্শাল ল’র সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। একটা দল ছাড়া এমন কোনো দল নাই তিনি করেননি। উনার মুখেই এগুলো সম্ভব। আমরা এগুলো বলতে পারবো না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান আছে। সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে। এর বাহিরে যাওয়ায় কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। এর কোনো ব্যাতয় ঘটবে না। জনগণ ভোট দিলে নির্বাচিত হবো, না দিলে হবো না। সংবিধানের যা লেখা আছে তা করতে হবে।’

২১ আগস্টের হামলা বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাউকে ফাঁসানোর চিন্তা আমাদের নাই। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন- বিএমএ’র সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সালান, মহাসচিব ডা. আবদুল আজিজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।