ইভিএম’র অপব্যবহার যেন না হয়: প্রধানমন্ত্রী

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর কোনও  অপব্যবহার যেন না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে ইভিএমের প্রশিক্ষণ ও এর ব্যবহার শেখাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনোভাবে এটার যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। ইভিএমের ব্যবহার যেন গ্রাজুয়ালি করা হয় সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না- এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আরপিওতো সংশোধন করতে হবে।’

ইভিএম প্রকল্পটি তাড়াহুড়ো করে পাস করা হল কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘না, এটা তাড়াহুড়ো করে পাস হয়নি। পরিকল্পনা কমিশনে এ প্রকল্প অনেকদিন যাবত ছিল।’

অপর এক প্রশ্নে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছি আমরা। এটা তিন ধাপে বাস্তবায়ন হবে। জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদকাল পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়িত হবে। পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকার দেবে। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাস্তবায়ন করবে।’

ইভিএম প্রসঙ্গে গত ২ সেপ্টেম্বর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জোর করে তাড়াহুড়ো করে ইভিএম জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। এটা প্র্যাকটিসের বিষয়। তবে পরীক্ষামূলক তা ব্যবহার করা যায়। বিষয়টি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক।’

এর আগে একনেক সভায় ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ক্রমান্বয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম মেশিন কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব জনবলের জন্য ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ আয়োজন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।