সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আরও ২০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা, ভাতা ও অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। এই ফান্ডে আমি কিছু টাকা দিয়েছিলাম। পত্রিকার মালিকরা এই ফান্ডে কোনও টাকা দেননি। মাত্র দুজন টেলিভিশন মালিক ফান্ডে সহায়তা করেন। সেখানে এখন ১৪ কোটি টাকা আছে। আমি আরও ২০ কোটি টাকা দেবো।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমের মালিকপক্ষকে এই ট্রাস্টে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত পত্রিকা, এত রেডিও, এত টিভির অনুমোদন দিয়েছি, আপনারা (মালিকপক্ষ) কেন এই ট্রাস্টে অনুদান দেবেন না? অনুদান চেয়ে মাত্র দু’জন মালিকের কাছ থেকে আমরা সাড়া পেয়েছি, একজন ইত্তেফাকের মালিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আরেকজন মাছরাঙ্গা টিভির অঞ্জন চৌধুরী। আর কারও কাছে সাড়া পাইনি। কিন্তু এখন তো সবার অবস্থা ভালো। সবাই ভালো ব্যবসা করছেন। আপনারা সবাই টাকা দেবেন। আর মালিকপক্ষ যত বেশি টাকা দেবেন, আমার পক্ষ থেকেও এই ট্রাস্টে অনুদানের টাকা বাড়বে। আমি ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছি, দরকার হলে আরও দেবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে একটি টেলিভিশন এবং একটি রেডিও পেয়েছি। এরপর আমরা বেসরকারি খাতে টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দেই। সংবাদপত্র এবং রেডিও যে যেভাবে চেয়েছে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। তারপরও আমি কখনো সংবাদপত্রে বা মিডিয়ায় ভালো প্রচার পাইনি।

তিনি বলেন, ‘শুধু সাংবাদিক নয়, সব পেশাজীবী মানুষের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি মনে করি, এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। কারণ, বঙ্গবন্ধুও সারাজীবন শুধু মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।’‘আমরা সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমরা এত উন্নয়ন করার পরও অনেকেই নানাভাবে সমালোচনা করেন। আমরা সংবাদপত্র বা মিডিয়ার কাউকে মুখ বা গলা চেপে ধরিনি। এ কথা কেউ বলতে পারবে না।’

এসময় উপস্থিত তথ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করলে তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে আমি ২০ কোটি টাকা দেবো।’

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিএফইউজের মহাসচিব মোল্লা জালাল, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধাররণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ অন্যরা।