‘২১ আগস্ট মামলায় তারেককে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেছেন, ‘মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ মামলায় তারেক রহমান ও বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে জড়ানো হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, এ হামলায় কোনোভাবেই বিএনপি জড়িত ছিল না। এ মামলায় মুফতি হান্নানকে ২৪০ দিন রিমান্ডে এনে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করিয়েছে। পরে তিনি আদালতে বলেছেন- তাকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করানো হয়েছে।’

    বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা মামলায় শেখ হাসিনার যে গাড়িটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তিনি এফবিআইকে গাড়িটি দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করেননি। এমনকি ভারতের এক পত্রিকায় তিনি বলেছিলেন- এ হামলার সঙ্গে সেনাবাহিনী জড়িত। এ মামলায় ষড়যন্ত্র করে কোনো রায় দিলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।’

    যৌথসভায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায় নিয়ে চক্রান্ত এবং সারা দেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নামে যে চার হাজার ‘গায়েবি মামলায়’ তিন লাখ লোককে আসামি করা হয়েছে, তার নিন্দা জানানো হয়। সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তাঁকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানানো হয়।

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আগামী ২৯ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করব। সেটি কেন্দ্র করে এরই মধ্যে সরকারি দল বিভিন্ন কথা বলছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। নাসিম সাহেব বলছেন, যেখানে পাও বিএনপিকে আটকে দাও। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলছেন, রাস্তায় নামলে হাত-পা ভেঙে দাও।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা ২৭ তারিখ জনসভা করতে চেয়েছি, সে জন্য পুলিশকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ আমাদের বলেছে, আপনারা ২৭ তারিখ নয়, ২৯ তারিখ করেন। এখন শুনছি, সেদিন মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী লীগের একটা প্রোগ্রাম আছে। এটার কারণে আমাদের জনসভা করতে কী সমস্যা, আমার বুঝে আসে না।’

    ২৯ সেপ্টেম্বরের জনসভায় দলের নীতিনির্ধারণী বক্তব্য এবং ভবিষ্যত কর্মপন্থা ও কর্মসূচি তুলে ধরা হবে বলেও বিএনপি মহাসচিব জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা হেলাল খান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।