‘রাজনৈতিক অঙ্গনে অশুভ শক্তির পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি’

রাজনৈতিক অঙ্গনে অশুভ শক্তির পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই মুহূর্তে আমরা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অশুভ শক্তির পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এবং তাদের দোসররা নাশকতার পরিকল্পনা করছে, এমন মেসেজ আমাদের কাছে আছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, ‘তারা যে ধরনের হাকডাক শুরু করেছে তাতে করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। আজকে তারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে, কিন্তু কিছুদিন আগে আইআরআইয়ের জরিপ গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা সিক্সটিসিক্স পার্সেন্ট এবং আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা সিক্সটিফোর পার্সেন্ট। এটা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সম্ভ্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান জরিপ। আমার প্রশ্ন, যে দলের জনপ্রিয়তা সিংহভাগ সেই দলে কে বাদ দিয়ে কিভাবে জাতীয় ঐক্য সম্ভব?’

রাজধানীতে একই দিনে ১৪ দল এবং বিএনপি’র রাজনৈতিক সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন: ‘১৪ দলের এ কেন্দ্রীয় সমাবেশ বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। তাদের সমাবেশের তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। অনুমতি না নিয়েই তারা লাফালাফি করছে। তারা গত ১০ বছরে কিছু করতে পারে নাই। মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়াকে খুশি করার জন্যই লাফালাফি করছে।’

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা কোন জাতীয় ঐক্য নয়। এটা হচ্ছে নেতায় নেতায় ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক ঐক্য। এটার কোনো ভবিষ্যত নেই । বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির কারণে দেশের জনগণ তাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের প্রতি আস্থাশীল।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্ধেক নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমরা কেন সংঘাতে যাব? আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন, আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করব। আমাদের কোন পাল্টা কর্মসূচি নেই। অহিংসা আন্দোলন হলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব কিন্তু সহিংসতা হলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।’

এসময় তিনি জানান, ‘আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশব্যাপী গণসংযোগ করবে আওয়ামী লীগ। রাস্তা অবরোধ করে কোন সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। জনগণের দুর্ভোগ হয় সৃষ্টি এমন কোনো সমাবেশ আমরাও করবো না, করতে দেয়াও হবে না।’

প্রেসক্লাবের সামনে, পল্টনে কোনো সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না বলেও জানান কাদের।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।