জাতীয় ঐক্যের নৈতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড, আদালতের রায়ে অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন দণ্ডিত। সেই দলের সঙ্গে হওয়া জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নৈতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ এবং অসমর্থনযোগ্য।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) মিলনায়তনে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ২৮তম বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  আমি একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কথা বলে, আইনের শাসনের কথা বলে, নৈতিকতার কথা বলে খুনিদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য করবেন। দেশের জনগণ কখনোই এ জাতীয় ঐক্যকে সমর্থন করবে না।

তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের কড়া সমালোচনা করে বলেন, কোন নৈতিকতায় আপনারা এই খুনিদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন? তথাকথিত জাতীয় ঐক্য করছেন। বাংলাদেশের রাজনীতি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, দণ্ডিত, খুনিদের হাতে ন্যস্ত হবে না। এই জাতীয় ঐক্য আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের জনগণ কোনদিনও গ্রহণ করবে না। এই ধরনের জাতীয় ঐক্য যারা করে, তারা কতটা নীতি-নৈতিকতাহীন রাজনৈতিক দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ফরমায়েশি রায় বলে বিএনপির নেতারা মন্তব্য করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ফখরুল সাহেব যা ইচ্ছে তাই বলছেন, তিনি বলছেন এই রায় ফরমায়েশি রায়। সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারাই বলুন, এই রায় কি ফরমায়েশি রায়? বাংলাদেশের বিবেক আছে এমন একজন মানুষ কি বলবে এই রায় ফরমায়েশি? ১৪ বছর পর এই রায় হয়েছে, আমি এখনও নামাজের সেজদা দিতে পারি না, আমাদেরকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিয়েছে, অনেকে আছে যারা হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারে না।

তিনি বলেন, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজে, তিনি কি দায় এড়াতে পারেন? এটা কি ফরমায়েশি রায়? যে গ্রেনেডগুলো অবিস্ফোরিত সেগুলো কেন ধংস করা হলো? কে ক্ষমতায় ছিল, এটা কি ফরমায়েশি রায়? জবাব দিবেন।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বুধবার (১০ অক্টোবর) তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের ফাঁসি হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের। বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়