ঘরে ঘরে প্রত্যেকটা মানুষের হাতে মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- সারাদেশে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। গ্রাম-শহর বদলে গেছে। রাস্তাঘাট উন্নয়ন হয়েছে। কৃষকদের বিনে পয়সায় ঋণের ব্যবস্থা করেছি। মাত্র দশ টাকায় তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। ঘরে ঘরে এমনকি দেশের প্রত্যেকটা মানুষের হাতে মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা করেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছি। সড়ক, নৌ, রেল, বিমানবন্দরের উন্নয়নে কাজ করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে চাই।

রোববার পদ্মা সেতু পরিদর্শন শেষে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন- যারা কোনও কাজ করতে পারেন না, তাদের জন্য ভিজিএফ কার্ড দিয়েছি। ১০০টা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। বৃষ্টি ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করতে ১২০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট করে দিয়েছি। নদী ভাঙন রোধে বিশাল ড্রেজিং প্ল্যান করেছি। শুধু নদী ভাঙন রোধই নয় যাতে আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ে, ফসল বাড়ে, সে ব্যবস্থাও করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে চাই আমরা। আপনাদের ঘরে বসে বিদেশে আয় করার সুযোগ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল জিয়া। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে খালেদা জিয়া-তারেক আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের ২২জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে তারা। হত্যার বিচার যাতে না হয়, সেজন্য জজ মিয়া নাটক করেছিল। ২০০১ সালের পর এ অঞ্চলে যে নির্যাতন করেছিল, তা অবর্ণনীয়।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নতুন জোট নিয়ে তিনি বলেন, যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, দুর্নীতি করে তাদের নিয়ে ঐক্য হয়েছে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন বলে দাবি করেন অথচ যে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করে, তাদের সঙ্গে ঐক্য করেছেন। যে বিএনপি এমনই দেউলিয়া, দলে একটা লোক নাই, চেয়ারম্যান হবার মতো।

নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, আগে বিএনপি-জামায়াত দেশে কোনও উন্নয়ন করেনি। সন্ত্রাস আর দুর্নীতির রাজত্ব চালিয়েছে। এতে জনগণের নয়, তাদের উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যেকের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হবে। নৌকাই জনগণের মুক্তির পথ। তাই উন্নয়নের জন্য আপনাদের নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করতে হবে।