মাহবুব তালুকদারের সরে দাঁড়ানো উচিত : নাসিম

১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘সাংবিধানিক পদে থেকে নির্বাচন কমিশনার
মাহবুব তালুকদার গোপন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। যা সংবিধানের পরিপন্থি। এ জন্য নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।’

বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নাসিম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে মাহবুব তালুকদার প্রকাশ্যে যেসব কথাবার্তা বলছেন তাতে তাঁর শপথ ভঙ্গ হয়েছে। তিনি সাংবিধানিক পদে থেকে এ ধরণের বক্তব্য দিতে পারেন না। তার উচিত ছিল পদত্যাগ করে এসব কথা বলা।’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের সভা বর্জন করেন মাহবুব তালুকদার। বেরিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বলেন, কমিশন বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তাঁর নিজস্ব কিছু প্রস্তাব ছিল সেগুলো উত্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। এজন্য তিনি অপমানিত বোধ করে বেরিয়ে আসেন।’

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সম্পর্ক আছে দাবি করে নাসিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে তাঁর সম্পর্ক আছে, আমরা জানতে পেরেছি। এদের মত বুদ্ধিজীবী সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার জন্যই এ ধরনের বক্তব্য দেন। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন।’

এসময় তিনি ১৪ দলের পক্ষ থেকে জাফরুল্লাকে বিচারে আওতায় আনার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, ড. জাফরুল্লাহ কয়েক দিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সেনাপ্রধানকে নিয়ে ভুল তথ্য প্রদান করেন। পরে অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বক্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।

তত্ত্বাধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুলের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘ব্যারিস্টার মঈনুল হলো সেই লোক, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে বিশ্বাসঘাতক মোশতাকের সাথে হাত মিলিয়েছেন। পরে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টি গঠন করেছিলেন। আবার জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিলেন তিনিই। আজ সেই মইনুল বিএনপির প্রিয় বিশ্বস্ত লোক হয়েছে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোট ছোট বা আরও বড় করা হবে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের শক্তি যদি হয় সেটি প্রধানমন্ত্রী ভেবেচিন্তে দেখবেন মহাজোট প্রসার বাড়ানো যায় কিনা।’

সংবাদ সম্মেলনে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জাপার নির্বাহী মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাসদের সভাপতি নুরুল শরিফ আম্বিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।