আন্দোলনের নামে কেউ যেন জীবন্ত মানুষদের পুড়িয়ে মারতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা

ভবিষ্যতে কেউ যেন আর আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এজন্য সরকারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বুধবার রাজধানীতে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াতের বোমা বাজিতে আমাদের বহু লোক আহত হতো। তাদের দেখতে গিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেই এটি করার। নিমতলীতে যখন আগুন লাগে তখন বিষয়টি প্রয়োজন হয়ে পড়লো। আমরা দেখলাম প্রায়ই মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয় কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা সেবা তারা পায় না।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবার সবটুকুই নিশ্চিত করা হবে। এখন একটাই কাজ তাহলো মানুষকে উন্নত জীবন উপহার দেয়া। সে লক্ষ্যে যা যা করা প্রয়োজন তার সবটুকুই করবে আওয়ামী লীগ সরকার।

পর্যায়ক্রমে এখানে সব ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি আনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে লোক বেশি কিন্তু নার্স-ডাক্তার কম। নতুন এ চিকিৎসা সেবার জন্য নার্স ও ডাক্তারদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের দ্বিতীয় মেয়াদের ৫ বছর সময় শেষ। আগামী নির্বাচনে যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে বাকি কাজ শেষ করতে পারবো। যদি ভোটে না আসতে পারি তাহলে তাহলে বার্ন ইউনিটের মতো কার্যক্রম যেন থমকে না যায়। এর উন্নয়ন অগ্রগতি আপনারা অব্যাহত রাখবেন।

তিনি বলেন, যেকোনো স্থানে আগুন লাগলে যাতে দ্রুত তা নিভিয়ে ফেলতে পারে, মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি যেন না হয় তাই দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস করেছি। ঢাকা শহরকে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণে ভাগ করে চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতাল গড়ে তুলছি। ডাক্তাররা যাতে এক্সপার্ট হন সেজন্য বিদেশ থেকে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাতে ১০ বছর সময় পেয়েছি পরিশ্রমও করছি। যে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী এখন সম্মানের চোখে দেখে।

উল্লেখ্য, উদ্বোধন করা ১৮তলা বিশিষ্ট এই ভবনে আধুনিক সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এছাড়া ৫শ’ শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং ১২টি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে।

২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ ইনস্টিটিউট নির্মাণের অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

তারপর ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর নির্মাণ কাজ শুরু করে। দুই একর জমির ওপর ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করা হয়েছে।