জনগণের ঐক্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে জনগণের স্বার্থে গঠিত জাতীয় ঐক্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

সোমবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ৫ নেতা দেখা করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাফটকে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বেগম জিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘অনেকদিন পর তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলাম। জনগণের জন্য যে ঐক্য করা হয়েছে, তা নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন আমাদের চেয়ারপারসন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’

জাতীয় নির্বাচন কিংবা রাজনীতির হালচাল নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। কারণ, তিনি অসুস্থ। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে।’

এসময় দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওনাকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখান থেকে আবার কারাগারে নেয়া হয়েছে।’

এসময় মির্জা ফখরুল বেগম জিয়াকে পুনরায় বিশেষায়িত কোনও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ৪ দিন ধরে খালেদা জিয়াকে থেরাপি দেয়া হচ্ছিল না। ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। পিজি হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে তাঁকে আবার চিকিৎসা দেয়া হোক।’

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান।

ফখরুল ছাড়াও প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস।

উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। ওই দিন থেকেই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। একই মামলায় বেগম জিয়ার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৫ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় দুর্নীতির এ মামলাটি করেছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুর্নীতি)।

সূত্র ঃ ব্রেকিং নিউজ