এটা স্বৈরাচার সরকার বিদায়ের নির্বাচন: দুদু

জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বৈরাচার সরকারকে বিদায়ের নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নির্ধারিত হবে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না? এই নির্বাচন স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করা নির্বাচন। এই নির্বাচন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার নির্বাচন, এই নির্বাচনে আমাদের জয়ের কোনো বিকল্প নাই।’

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা থানা ও আলমডাঙ্গা থানার বিভিন্ন ইউনিটির সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। সেটি না হলে তারা স্বৈরাতান্ত্রিকের সমর্থক হিসাবে জাতির কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারি, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের মাসের তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বাস্তবায়িত করতে পারি, এই নির্বাচনই আগামীর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে।এই নির্বাচন গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বসম্মানে বের করার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের যে যেখানে আছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ভয় বা আতঙ্ক নয় যা করতে হবে মানুষের ভালোবাসা দিয়ে সেই ভালোবাসা আমাদের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা বিএনপি নেতা মুজিবুল হক মালিক, আব্দুল জব্বার সোনা, শ্রমিক দল সভাপতি এম জেনারেল, উকিল বারের সাবেক সম্পাদক শামিম রেজা ডালিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, কৃষক নেতা আবু জাফর সিদ্দিকীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের জেলা ও থানার নেতৃবৃন্দরা।