আ.লীগ নেতাকে মারধর, বিএনপির অফিস ভাংচুরের অভিযোগ

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খান শামীমুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নড়াগাতী থানার খাশিয়াল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর কালিয়া পৌরসভা অবস্থিত বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও পোস্টারে আগুন লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. হাদিউজ্জামান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমান ও আত্মীয় স্বজনরা নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগ নেতা অসুস্থ খাজা মিয়াকে দেখতে যাচ্ছিল। তাদের গাড়ি খাশিয়াল বাজারে পৌঁছলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দেয়। এসময় উপজেলার চেয়ারম্যান গাড়ি থেকে নামলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এ পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা খান শামীমুর রহমানে উপর হামলা করে। এসময় তিনিসহ তার চাচাতো ভাই হিমু খা, খাশিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান খান রাসেল সুইটসহ মোট পাঁচজন আহত হন।

তিনি জানান, আহত চেয়ারম্যানকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তবে নড়াইল-১ আসনের (কালিয়া- নড়াইল সদরের একাংশ) বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমান খাশিয়াল বাজারে এসে বিএনপির নির্বাচনী অফিস বন্ধ করতে বলেন। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় তাদের হামলায় বিএনপির এক কর্মী মান্নু বিশ্বাস আহত হন। খান শামীমুর রহমান এসময় সামান্য আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা আমার কালিয়া বাজারের অবস্থিত অফিস ভাংচুর করে এবং অফিসের মধ্যে থাকা পোস্টার পুড়িয়ে দেয়া হয়।

নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, খাশিয়াল বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কালিয়া অবস্থিত বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘরের মধ্যে থাকা কিছু কাগজ পত্র এনে কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।