শরিকদের মন্ত্রিত্ব নিয়ে মুখ খুললেন ওবায়দুল কাদের

কাউকে মন্ত্রিপরিষদে স্থান দেয়ার শর্তে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়নি। আগামী পাঁচ বছরে মন্ত্রিসভায় অনেক রদবদল হতে পারে। সেসময় অনেকেই দায়িত্বে আসতে পারেন। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদ গঠনের দিনে সোমবার সচিবালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোট কাউকে মন্ত্রী করার শর্তে গঠন করা হয়নি। মন্ত্রী হলে জোটে আছি, না হলে নাই—বিষয়টি এমন নয়। আর তা ছাড়া পাঁচ বছর অনেক বড় সময়। এর ভেতরে অনেক রদবদল হতে পারে। তখন জোট থেকে বা দলের ভেতর থেকে অনেকেরই ডাক পড়তে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ গেলে মনে কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। আমাকে বাদ দিলে আমিও কষ্ট পেতাম। তবে প্রধানমন্ত্রী যেটা করেছেন সেটা সরকার, দেশ, জাতি ও দলের ভালোর জন্যই করেছেন। মন্ত্রী না হওয়ায় তাদের মধ্যে কষ্ট আছে বলে মনে হয় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেসব এলাকা থেকে আগে মন্ত্রী করা হতো না, বঞ্চিত ছিল এলাকাগুলো, সেসব এলাকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সময় ও আধুনিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। এটি সম্পূর্ণ তাঁর এখতিয়ারে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, চেয়ার মেকস আ ম্যান। চেয়ারই তাকে দক্ষ ও যোগ্য করে তুলবে। তা ছাড়া যারা পারফর্ম করতে পারবেন না, তারা বাদ পড়ে যাবেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে যে ওয়াদা করেছিলাম, সেগুলো পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করাই এখন আমাদের দায়িত্ব।