ডাকসু নির্বাচনও কলঙ্কিত করা হলো : বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ডাকসু নির্বাচনকেও কলঙ্কিত করা হলো বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সর্বশেষ এ ভিপি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের ভাষা, স্বাধিকার,স্বাধীনতা, গণতন্ত্রসহ সকল অধিকার আন্দোলনে ডাকসুর ভূমিকা ছিল অগ্রগামী। আজ ডাকসুর নির্বাচন। দেশে বিদ্যমান নাৎসিবাদী পরিকাঠামোর মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ বছর এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের ভোটের স্মৃতি ডাকসু নির্বাচনেও সাধারণ ছাত্রদেরকে তাড়িত করছে। এ নির্বাচনে সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

ছাত্রদলের সাবেক নির্বাচিত সভাপতি রিজভী বলেন, ‘নাৎসিবাদী গণতন্ত্রের নানারুপ এ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিফিলিত হয়েছে। ঢাবির ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে ১৮টি হলে। সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র দাবি করেছিলেন, দাবি করেছিলেন ভোটের সময় বাড়ানোর, স্টিলের ব্যালট বাক্সের বদলে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দাবি করেছিলেন, রাতের ভোটের আতঙ্কে রাতে যেন ব্যালট বাক্স না নেওয়া হয় সে দাবিও প্রার্থীরা করেছিলেন- কিন্তু এসব দাবি নাকচ করা হয়েছে।’

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘বিরোধী মতের শিক্ষকদের ডাকসু নির্বাচনের কোনো দায়িত্বে রাখা হয়নি। গত কয়েক দিনের সাধারণ ছাত্রদের জোর করে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে সাধারণ ছাত্রদের হুমকি দিয়ে হলগুলো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। মানুষের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ডাকসু নির্বাচন সরকারেরই নীতি ও নীলনকশা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হচ্ছে কি না। এখনও পর্যন্ত বিশ্বদ্যিালয়ের কর্তৃপক্ষের যাবতীয় আয়োজন ছাত্রলীগকে অবৈধপন্থায় বিজয়ী করার অনুকূলে।’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘২৯ডিসেম্বর মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বের হতে পারেনি। আজ ডাকসু নির্বাচনকেও কলঙ্কিত করা হলো। গত রাতেও ব্যালট বাক্স ভরানো হয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া গেল আজ কুয়েতমৈত্রী হলে বস্তাভর্তি সিল মারা ব্যালট। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীসহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা যাতে ভোট দিতে না পারে সেজন্য পুলিশ অবিশ্বাস্য রকমের তৎপরতা শুরু করেছে। সব হলে হলেই ছাত্রলীগের আতঙ্কজনকহারে মহড়া চলছে। এ নির্বাচনের পরিণতি নিয়ে জনমনে সংশয় গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে।’