আন্দোলন বিস্ফোরিত হলে ভেসে যাবে সরকার: রব

‘আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না’ দাবি করে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আন্দোলন জমা থাকে, আন্দোলন কখনও হারিয়ে যায় না। আন্দোলন যখন বিস্ফোরিত হবে সেদিন ভেসে যাবেন।’

রবিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান এর ১২তম মৃতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে রব বলেন, ‘সময় আসছে, সুযোগ আসবে, সংগঠিত থাকুন, অপেক্ষা করুন। শুধু রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে স্বৈরাচারকে উৎখাত করা যায় না। সমাজের রাষ্ট্রের সকল জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে স্বৈরাচারকে উৎখাত করতে হয়।’

সরকারের উদ্দেশ্যে জেএসডির সভাপতি আরও বলেন, ‘মনে করছেন এভাবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তোর মাধ্যমে টিকে থাকবেন? এটা অসম্ভব। হিটলার নাই, মুসোলিনি নাই, ফেরাউন নাই, সাদ্দাম হোসেন নাই। আপনারাও থাকবেন না। ২০ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে সকল মামলা প্রত্যাহার করে জনগণ যেভাবে নিয়ে এসেছিলো খালেদা জিয়াকেও সেই একইভাবে কারাগার থেকে মুক্ত করবে জনগণ।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল যে শিশুর জন্ম হবে তার মাথায় থাকবে ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ। এই হলো উন্নয়ন। ১৬ কোটি মানুষকে বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকা, তার উপর নাগিন নৃত্য করা বন্ধ করতে হবে।’

ডাকসুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘গত 8 বছরে ছাত্রদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে।’

স্মরণ সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে এত বড় ডাকাতি পুরো রাষ্ট্র মিলে করতে পারে? এরপর সাম্প্রতিক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনে কোনও জায়গাতেই মানুষ ভোট দিতে যায়নি।’

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন কি কোনও নির্বাচন হয়েছে? পুলিশ হয়তো সিল মারেনি, বিজিবি হয়তো সিল মারেনি, কিন্তু সিল মারা তো হয়েছে। চুরি করা ব্যালট বাক্স পাওয়া গেছে, সিল মারা ব্যালট বাক্সতো পাওয়া গেছে। তারপর সেই ডাকসুকে আবার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে ডাকসুর ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘এখন নতুন একটা স্তম্ভ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ যেন কথা বলতে না পারে এরকম অবস্থা তৈরি করে রেখেছে এই জুলুমের সরকার। মানুষের মধ্যে এখন এক ধরনের হতাশা। মানুষ আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে- ‘ভাই দেশের অবস্থা কী হবে? পাঁচ বছরও কি এমনই থাকবে’?’

টি এম গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নিতাই রায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।