নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার চার্জগঠনের শুনানি পেছাল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ জুন ধার্য করেছেন আদালত। পুরান ঢাকার বকশিবাজারের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত আদালতে আজ সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

আজ সাবেক এ প্রাধানমন্ত্রীর মামলার অভিযোগ হতে অব্যাহতির জন্য আবেদন দাখিল এবং শুনানির দিন ধার্য ছিল।

শুনানিতে সাবেক খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, কারাকর্তৃপক্ষ অসুস্থতার জন্য খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ কারণে তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। যেহেতু চার্জ শুনানি আসামির উপস্থিতিতে হতে হয়, তাই খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে এদিন চার্জ শুনানি সম্ভব নয়।

এ সময় বিচারক দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনিও সহমত প্রকাশ করেন। শুনানি শেষে আদালত চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ জুন ধার্য করেন। এর আগে গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে কারাকর্তৃপক্ষ বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। কিন্তু চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরে ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-তারেক রহমানের বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।