জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কী শপথ নিলেন, জানালেন ফখরুল

জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতার আদর্শ অনুসরণ করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনারও অঙ্গীকার করেছে দলটি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এই শপথের কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের অন্য নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

দেশে গণতন্ত্র নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। নির্বাচনে মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। এ সময় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ করতে নেতাকর্মীদের তাগিদ দেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশে মৌলিক পরিবর্তন এনেছিলেন। তার দেখানো পথেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

আরেক নেতা মওদুদ আহমদ বলেন, গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন ফিরে না আসা পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।

এর আগে দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের দুঃসময়ে শক্ত হাতে হাল ধরেন জিয়াউর রহমান। তার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে অবস্থান করছেন তিনি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার দেশে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কেন্দ্রীভূত স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভূ বর্তমান সরকার। এরা নতুন কায়দায় পুরোনো বাকশালকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। বিরোধীদলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

এদিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসমূহ। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনও নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।