মিয়ানমারের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার নিয়ে সতর্ক করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের বৈঠকে শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সর্বশেষ অবস্থা আমরা প্রতিনিধিদের আজকে জানালাম। কারণ, মিয়ানমার সম্প্রতি বেশকিছু মিথ্যা ও অপপ্রচার দিয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবার্সন কীভাবে জোরদার করা যায় এবং প্রক্রিয়াটা কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায়- সে বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, এই রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া উচিত এবং এটা যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যাবে ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল। বিশ্ববাসীর জন্যও মঙ্গল।’

 

ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বলেন, ‘মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্মেলন হয়েছে। তিনি আমাদের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সর্বশেষ নানা তথ্য দিয়েছেন। আমরা এখন সব শুনছি। এটি খুবই সহজেই এবং আমরা দেখি এ নিয়ে কি করতে পারি। ইইউ এর পক্ষ থেকে আমি এটি কেবল বলতে পারবো যা আমি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করে যাবো।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবার্সনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এক্ষেত্রে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এখন বলতে পারবো না আমার সহকর্মীরা মিয়ানমারে কী করছেন তবে আমরা বাংলাদেশে কী করছি সে বিষয়ে আপনাকে বলতে পারবো। বিভিন্ন ক্যাম্পে কাজ করছি।  এ ছাড়া গতকাল আমাদের ইইউ এর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হয়েছে। তিনি

কক্সবাজার এসেছিলেন। বর্তমানে তিনি মিয়ানমার আছেন সেখানকার সরকার প্রধানের সঙ্গে সংলাপের জন্য। আশা করা যাচ্ছে, এটিই এখন ইতিবাচক কিছু বয়ে আনবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিফিং প্রসঙ্গে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আরও আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কমিটি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের পক্ষে আছি। সমর্থন করছি এবং একইসঙ্গে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করছি আমরা। মিয়ানমারের পক্ষ থেকেও এক্ষেত্রে সমানভাবে এগিয়ে আশা উচিত বলে আমরা মনে করি।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবার্সনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলিনি। আপনারা যেহেতু জানেন, এটিই খুবই কঠিন পরিস্থিতি।’