আমার কথায় বেগম জিয়ার মুক্তি হচ্ছে না বলা হাস্যকর: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার মুক্তি, বেগম জিয়ার বন্দিত্ব সবই আদালতের এখতিয়ার।  আমার কথায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হচ্ছে না, বিএনপি নেতাদের এসব কথা হাস্যকর।’

বুধবার (১৯ জুন) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৩ জুন দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা কি কারণে এসব কথা বলছেন আমার জানা নেই। আমি বলছি, বেগম জিয়ার অনেক মামলায় জামিন হয়েছে। এতে যদি সরকার হস্তক্ষেপ করতো, আদালত সেই হস্তক্ষেপে নত হয়ে বেগম জিয়ার মুক্তির পথে অন্তরায় সৃষ্টি করতো। এমন তো নয়। তিনি ৩০ থেকে ৩৫টি মামলা জামিন পেয়েছেন। সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যের মধ্যে বিএনপি নেতারা কি যোগ-সাজেশন খুঁজে পেলেন। আমি বলছি, আদালত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিলে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকবে না।’

উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নেক্সট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা খুব দ্রুত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করবো। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বর্ধিত সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ত্যাগীকর্মীদের অবহেলা করবেন না। দলের মধ্যে উপদল সৃষ্টি করবেন না। কমিটি করতে গিয়ে নিজের লোক খুঁজবেন না। দলের লোক খুঁজবেন। নিজের লোক কখনো চিরস্থায়ী হয় না। দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের অবহেলা করবেন না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তরুণ ও নতুনদেরকে নৌকার পক্ষে ধরে রাখতে হবে। নতুনদের নৌকার পক্ষে ধরে রাখতে হলে সদস্যদের সংগ্রহ অভিযানের কোনও বিকল্প নেই। যারা আওয়ামী লীগের ইশতেহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন, তাদেরকে ধরে রাখতে হবে। তরুণদের দলে ফেরাতে পারলে,  এক্সপেরিয়েন্স এর সাথে এনার্জি যোগ হলে আওয়ামী লীগের বিকাশ ধারা অনেকদূর পৌঁছে যাবে। এজন্য নতুন করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান পুনরায় শুরু করতে হবে।’

সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আত্মা পড়ে আছে তৃণমূলে। অসংখ্য গরিব, দুঃখী, অসহায় কর্মীর ঘরে পড়েছে আওয়ামী লীগের আত্মা। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। গরিব দুঃখী কর্মীদের ভালবাসতে হবে। সহানুভূতি দেখাতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রত্যেক নেতার মধ্যে মানবিক গুণাবলি থাকতে হবে।’

ঢাকার মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।