কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মমুখী সংস্কৃতিতে ধাবিত করবে : পাটমন্ত্রী

স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য সরকার প্রত্যেক দপ্তর এবং সংস্থাসমূহে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর। এই কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রত্যেককে কর্মমুখী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উন্নীতকরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সদা সচেষ্ট। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে সরকার কাজ করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়ন এবং এর মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে দ্রুতগতিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন।’

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গুলনার নাজমুন নাহারের সঙ্গে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ চলতি অর্থ বছরের পহেলা জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাবৃন্দসহ দপ্তর/সংস্থার সকল প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

পাটমন্ত্রী বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তর/সংস্থা প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক ও যৌক্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরামর্শ দেন।

এছাড়াও তিনি প্রত্যেককে তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করে বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।