জিয়াউর রহমান ভয়ঙ্কর হত্যাকারীর নাম : শাজাহান খান

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ভয়ঙ্কর হত্যাকরী বলে অভিহিত করেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে এই আলোচনা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘যদি প্রশ্ন করা হয় দেশে ভয়ঙ্কর হত্যাকারী কে? তাহলে উত্তর হবে জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ভয়ঙ্কর হত্যাকারীর নাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই এ হত্যাকাণ্ড শুরু করেন জিয়া। বিভিন্ন ক্যুর নামে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করিয়েছেন, ৮১টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে জিয়ার আমলে। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে।’

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাতেই একমাত্র বাংলাদেশ নিরাপদ, অন্য কারোর হাতে নয়- তা নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। খালেদা জিয়া-তারেক নির্বিচারে দেশের মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। ক্ষমতায় এবং বিরোধী দলে থাকতেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকারী-দুর্নীতিবাজদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।’

জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম বলেন, ‘দেশ এগিয়ে গেলেও বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে। বাজেটটি মোটেও স্মার্ট হয়নি, বরং অনেকস্থানে গোঁজামিল রয়েছে। পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্য সৃষ্টিতে এবং ধনীক শ্রেণি সৃষ্টিতে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রথম। তাই বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতিতে ফিরে আসতে হবে, নইলে বৈষম্য কমবে না। বাংলাদেশে ৬৫০ জন বিদেশি কাজ করলেও ট্যাক্স দেন মাত্র ১৬ জন। এদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করতে হবে। খেলাপী ঋণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টর থেকে সরকার ঋণ গ্রহণে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা অর্থ পায় না, এ অভিযোগ মোটেও ঠিক নয়। দেশে রেমিটেন্স ও দেশীয় মুদ্রার কোনো সঙ্কট নেই। ঘাটতি বাজেট না থাকলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হয় না।’