বাংলাদেশ কারও কাছ থেকে ঋণ নেবে না, দেবে : অর্থমন্ত্রী

২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে বরং ঋণ দেবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে অর্থবিলের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেশি ঋণ করি কি-না? আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির পাঁচ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নেই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদেরকে ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেবো ইনশাআল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেবো আমরা।’

সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই, ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে, কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কী ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোনো খাবার ছিল না। চায়না আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ। যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। গত ১০ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছেন। ট্রেন একবার যখন ট্র্যাকের ওপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নাই আমাদেরকে এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশাআল্লাহ।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘একটা দেশ এবং জাতির সঙ্গে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এই বাজেটে টাইটেল রেখেছি সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সুফল ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এই বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এই বাজেটটির ফাউন্ডেশন এই বছর। কিন্তু এই বাজেট থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারব। সেইভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই বাজেটের ফলাফল পাব।’