হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আধাবেলা হরতাল সফল করতে রাস্তায় নেমেছে বামদলগুলো। হরতালের সমর্থনে রবিবার (৭ জুলাই) ভোর ছয়টা থেকেই রাজধানীর পুরানা পল্টন, শাহবাগ মোড়, মিরপুর ১০, বিজয় নগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক বাম জোটের নেতাকর্মীরা।

সকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে হরতালের সমর্থনে রাস্তায় নামেন হরতালে নৈতিক সমর্থন দেওয়া সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ (এসপিবি), ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

এদিকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় বসে যায় প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এতে টিএসসি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কারওয়ান বাজার, মৎস্য ভবন রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শাহবাগে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সাধারণ জনগণের হরতালের সমর্থন দেয়ার জন্য আহ্বানও জানান তারা।

পল্টনে একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি করেন জামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি ব্রেকিংনিউজকে বলেন, যাতায়াতের জন্য আমাদের সাময়িক হয়তো একটু অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনা করলে এই হরতালে আমাদের সবাইকে সমর্থন দেয়া উচিত।

গুলিস্তান যাওয়ার জন্য রিকশায় বসে আছেন দুলাল শেখ। তিনি ব্রেকিংনিউজকে বলেন, শাহবাগ থেকে কেউ আমাকে যেতে দিচ্ছে না। সবাই বলছে হরতাল হরতাল, যাওয়া যাবে না। আমি আগে জানতাম না আজ হরতাল।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে কয়েকটি প্রিজন ভ্যান, রায়টকার ও জলকামান। সম্ভব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সভাপতি ইমরান হাবিব বলেন, শুধু এটা আমাদের দাবি নয়, পুরো বাংলাদেশের নাগরিকের দাবি। ন্যায্য দাবি আদায়ে আমাদের আন্দোলন চলবে। বেলা ২টা পর্যন্ত আমরা শাহবাগ অবস্থান করব।

বিইআরসির ঘোষণা অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে রান্নাঘরে ব্যবহৃত এক বার্নারের চুলার জন্য গ্যাসের বিল দিতে হবে ৯২৫ টাকা, যা আগে দিতে হতো ৭৫০ টাকা। আর দুই বার্নারের চুলার জন্য গ্যাসের বিল দিতে হবে ৮০০ টাকার জায়গায় ৯৭৫ টাকা। এছাড়া, সিএনজি অটোরিকশায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম করা হয়েছে ৪৩ টাকা।

গ্যাসের এই মূল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালে নৈতিক সমর্থন দেয় বিএনপি, খেলাফত মজলিস, নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)।