মানুষ খুনের রাজনীতি বিএনপি করে না: নজরুল ইসলাম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘মানুষ খুনের রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি সেই আদর্শ জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে শেখেনি।’

বুধবার (১০ জুলাই) রাতে ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাকর্মীর পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ‘সহানুভূতি সভায়’ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাকশালের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। স্বৈরাচার এরশাদ গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিলেন, তখন লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া। আর এ সরকারের আমলে অপরাধ না করেও নিরপরাধ মানুষের ফাঁসির রায় ঘোষণা করে। আইয়ুব খান পারেনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে, ইয়াহিয়া খান পারেনি ক্ষমতায় বসে থাকতে, এরশাদও পারেনি, শেখ হাসিনাও থাকবে না। ভোটবিহীন সরকারকে উৎখাত করা ছাড়া কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না।’

নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘জনগণের ভোট না নিয়ে ক্ষমতায় চুরি করে আসা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলার রায় দিয়েছে। তারা এতোই পাপী, এতোই অপরাধী যে, দঁড়ি দেখলে মনে করে সাপ। আমরা এসেছি অসহায় পরিবারকে একটু সান্ত্বনা দিতে, তারা মনে করেছে, কি-না হয়ে গেলো। তাই কেন্দ্রীয় যুবদল নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’

পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবু সিদ্দিকের পরিচালনায় ‘সহানুভূতি সভায়’ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শাহজাহান আলী, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সৈকত, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক হাসান জাফিরুল তুহিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি মুনতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ঈশ্বরদীতে  ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলির মামলায় ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ২৫ জনের যাবজ্জীবন ও ১৩ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত ৩ জুলাই (বুধবার) স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন।