খালেদার অনুপস্থিতির কারণে চার্জগঠনের শুনানি পেছাল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির জন্য গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের শুনানি ফের পিছিয়ে ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ সৈয়দ দিলজার হোসেন নতুন এদিন ধার্য করেন।

এদিন মামলার চার্জগঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় শুনানিতে আসতে পারেননি।

কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে আজ এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু আইনজীবীরা চার্জ শুনানি মুলতবি চেয়ে আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় কারা হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এমতাবস্থায় আসামির অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানি করা আইন সম্মত হবে না।

এর আগে মামলাটিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল সকল আসামির কিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন।

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন। বর্তমানে আসামি ১৭ জন।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, ইসমাইল হোসেন সায়মন, একে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৩ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর মামলার দুই আসামি গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে। ফলে এরপর থেকে ১০ বছর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

সর্বশেষ গত বছর ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট ওই দুই আসামির আবেদন খারিজ করে দেয় এবং ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।