জাতীয় শোকদিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

বাঙালি জাতির জীবনে একটি শোকাবহ দিন ১৫ আগস্ট। ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের একটি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা। প্রতি বছর দিবসটি জাতীয় শোকদিবস হিসেবে যথাযর্থ মর্যাদা ও শোকাবহ পরিবেশে পালিত হয়।

প্রতিবারের মতো এবারও বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী, জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মমূচি নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দিবসটির শুরুতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সব স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন।

এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এদিন বাদ জোহর দেশের সব মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ উপাসনালয়ে হবে বিশেষ প্রার্থনা । এর অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় ওয়াইএমসিএ চ্যাপেল, ১৯ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

বাদ আসর মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হবে। এদিন দুপুরে অস্বচ্ছল, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে খাদ্য।

পরদিন শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া শোকাবহ আগস্টের শুরুতেই মাসব্যাপী শোকের কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী, জাতীয় শোকদিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশবাসীকে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংস্থাগুলোর সব স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সব শাখার নেতাকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি স্মরণ ও পালন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।