দেশ বাঁচাতে খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন অনিবার্য: ফখরুল

ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে এই মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনা অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার পুরোপুরি প্রতারক সরকারে পরিণত হয়েছে। এখানে লুট ছাড়া কিছু নেই। একেবারে তৃণমূল থেকে শুরু করে উপর মহল পর্যন্ত দেশ আজ লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে “আমার দেশ আমার শিল্প” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (এনআরসি) নামের একটি সংগঠন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ম্যানুফেকচারিং ইন্ডাস্ট্রিস গড়ে উঠছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিস বলতে গার্মেন্টস। আজকে আমাদের শিল্পের যদি বিকাশ ঘটাতে হয় তাহলে বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারের ব্যর্থতা এই জায়গাতেই। তারা সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘চামড়া শিল্প চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছে। এই কোরাবানি ঈদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো, এতিমখানাগুলো। যে এতিমখানাগুলোতে এই চামড়া থেকেই বছরের অর্ধেক সময়ের অর্থের সংস্থান হতো, কিন্তু অত্যন্ত সুচারু রূপে কৌশলে কারসাজি করে সেই চামড়ার দাম না দিয়ে নষ্ট করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সময় মতো চামড়া বিক্রি না হওয়ায় অর্ধেকের বেশি চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল একটা কথা শুনলাম, এই যে মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়ের একেকটা পিলার নাকি একেকজন সরকারি দলের লোকজনকে দেয়া হয়েছে। তো আমি জিজ্ঞেস করলাম- ‘এখানে তো বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রয়েছে। এখানে তো তারা কাজ করছে’। পরে জানলাম একেকটা পিলার একেকজন ক্ষমতাসীন সরকারি দলের লোককে দেয়ার জন্য সেইসব বিনিয়োগকারীদের বাধ্য করা হয়েছে। এই যদি অবস্থা হয়, লুট ছাড়া কোনও কিছু নাই। এই সরকারের লোকেরা লুট করে যাওয়া ছাড়া কিছু করছে না। তাই দেশকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে দেশপ্রেমিক নেতাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে হবে। আর জনগণের ম্যান্ডেট নেয়া সরকার নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহর- দেশের যে প্রান্তের মানুষের সঙ্গেই কথা বলেন, যদি ইনভেস্টার, ব্যাংকারদের সাথে কথা বলেন, তাহলে দেখবেন যে সব দিকে শুধু লুট চলছে। ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতারা। টিআর কাবিখা থেকে শুরু করে মেগা প্রজেক্ট পর্যন্ত সব জায়গায় ভাগ-বাটোয়ারার মহোৎসব চলছে।’

আয়োজক সংগঠনের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ডি এম আমিরুল ইসলাম অমরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু ও যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।