বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে: প্রতিমন্ত্রী রাসেল

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এম পি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনীদের বিচার হয়েছে, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচারের রায় অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। এখন সময় এসেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনায়ও যারা ছিলো, সেই সকল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কতৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু জাতির পিতা নন, তিনি একটি প্রতীক। দেশের সার্বভৌমত্বের, স্বাধীনতার, অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দি অবস্থায় মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু আপোষ করেননি। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি জাতিকে সোনার বাংলা উপহার দিয়ে গেছেন। খোন্দকার মোশতাক ও তার দোসররা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা সে পথে এগিয়ে যায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত বাঙালি জাতি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়নি।’

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পথ দেখাবে।

তিনি বলেন, যেসব গুণাবলী শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধুতে পরিণত করেছে সেগুলো তার শৈশবেই পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি স্কুলেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে জেলে গেছেন। পাকিস্তান স্বাধীনের পরপরই ভাষার জন্য জেল খাটেন। কলকাতায় পড়ার সময় দাঙ্গায় হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনে ১৩ বছরই তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। কিন্তু কখনও আপোষ করেননি। স্বাধীনতার পর একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে, পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাংলাদেশকে পথ দেখাবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. জাফর উদ্দীন বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই জাতির পিতাকে বা বড় বড় অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ছিল ব্যতিক্রম। এখানে শুধু ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা হয়নি। তার পুরো পরিবারকে হত্যা কার হয়েছে।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মোঃ সামসুল আলম বকুল প্রমুখ ও বক্তব্য প্রদান করেন।