‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ,২-৪ মাসের মধ্যে শেষ হবে পেপারবুক তৈরির কাজ’

আনিসুল হক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং দুই থেকে চার মাসের মধ্যে এটি শেষ হবে । আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত মামলাটির শুনানি শুরু করার।

আজ বুধবার সচিবালয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানসহ সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

মামলার রায় পরবর্তী কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিচারিক আদালত যদি কাউকে ফাঁসি দেয় তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭০ ধারা অনুযায়ী সেই মামলা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে চলে যায়। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলার রায়ে কিছু সংখ্যক লোকের ফাঁসি হয়েছে, কিছু আসামির যাবজ্জীবন হয়েছে। ফাঁসি হওয়ার কারণে তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে চলে গেছে।

তিনি বলেন, যারা যাবজ্জীবন পেয়েছেন তারাও হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেছেন। হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ম হচ্ছে, ডেথ রেফারেন্স ও যাবজ্জীবন সাজাটাকে একসঙ্গে ট্যাগ করে শুনানি করা। সেই ক্ষেত্রে কিছু ফরমালিটিজ আছে সেগুলো সম্পন্ন করতে হয়। ‘এক্ষেত্রে যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের পেপারবুক সরকারের তৈরি করে দিতে হয় বিজি প্রেসের মাধ্যমে। এই পেপারবুকের মধ্যে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র থাকে। এটা তৈরি করে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয় এবং শুনানি হয়,’ বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি এই মামলার পেপাবুক তৈরি হওয়ার জন্য যে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সেটা শুরু হয়ে গেছে। যেমন- কাগজপত্র আসার পর সেটা শর্টিং করতে হয়, তারপর এটা বিজি প্রেসে চলে যায়। আমি এটুকু বলতে পারি এ কাজ শুরু হয়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রসিকিউশন থেকে দেখবো এই পেপারবুক তৈরির কাজটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা যেন হয়। এই মামলার মোট সাক্ষী ২২৫ জন, ফলে এই মামলার পেপারবুক অনেক বড় হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত মামলাটির শুনানি শুরু করার।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারেক রহমানসহ সাজাপ্রাপ্ত সকল পলাতক আসামিকে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ পথে কিছুটা জটিলতা ছিল, আজও আছে, সেটাও সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, পলাতক আসামিদেরকে ফিরিয়ে এনে এই রায় কার্যকর করা আমাদের পক্ষে সম্ভব।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় জীবন হারানো সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন, যারা তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, যারা বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মত হত্যা করতে চেয়েছিলো তাদেরকে সাজা দেওয়ার ব্যাপারে আদালতকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব। এই বিচার শেষ করার দায়িত্ব আমাদের।আমরা সেই দায়িত্ব পালন করবো।