কেন্দ্রীয় যুবলীগের পর ঢাকা মহানগরের সম্মেলন, বয়সসীমা ৫৫ বছর

যুবলীগ

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সম্মেলনের পর যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়াও যুবলীগ নেতাদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ এবং যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসকে সামনে রেখে রোববার বিকেলে (২০ অক্টোবর) গণভবনে যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল বাশার মহানগরের সম্মেলন নিয়ে কথা বললে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সম্মেলনের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের নির্দেশনা দেন। বৈঠকে শেখ হাসিনা যুবলীগের বয়স ৫৫ বছর নির্ধারণ করে দিলে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান এবং ফারুক হোসেন বয়স বাড়ানোর কিছু যুক্তি তুলে ধরেন। তবে শেখ হাসিনা তা গ্রহণ না করে সর্বোচ্চ বয়স ৫৫ নির্ধারণ করে দেন।
গণভবনে যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে শেখ হাসিনার এ বৈঠকে যুবলীগ নেতাদের মধ্যে প্রথমে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। তারপর যথাক্রমে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, সাইদুর রহমান শহীদ (শহীদ সেরনিয়াবাদ), কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন গাজী, ফারুক হাসান তুহিন এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ। কয়েকজন তাদের বক্তব্যে ওমর ফারুক চৌধুরী সমালোচনা করলে তারা আগে কেনো এসব বলেননি বলে প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে যুবলীগের যাদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তাদের সংগঠন থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর ২১ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দুইজন ও ৯ জন সাংগঠনিক সম্পাদকসহ মোট ৩২ জন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, শহিদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, চয়ন ইসলাম, ড. আহম্মেদ আল কবির, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূইয়া মাখন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদ, আমির হোসেন গাজী, মুহা. বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, আসাদুল হক, ফারুক হাসান তুহিন, এমরান হোসেন খান ও আজহার উদ্দিন।

উল্লেখ্য, আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।