বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখায় বিশ্বাস করে

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখায় বিশ্বাস করে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতার দেওয়া পররাষ্ট্রনীতিই হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। আমরা আন্তর্জাতিক সব আইনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।’

গতকাল সোমবার স্পেনের মালাগায় আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের এক কনফারেন্সে রাখা এক বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মালাগা শহরের ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল তরমালিনোতে তিনদিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয় সোমবার।

১৭৬টি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। বিশ্বের ৭৬টি দেশের নৌপরিবহন মন্ত্রী এতে যোগ দেন। এ কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০১২ সালের কেপটাউন ঘোষণায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে অনুসরণ করা। আইএমও  কর্তৃক প্রণীত টারমালিনো কনভেনশনের অনুসমর্থনে ভূমিকা রাখা। আইএমও সভাপতি কিটাক লিন এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সাগর বিষয়ক উপদেষ্টা পিটার টমসন উপস্থিত ছিলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেফ ফিশিং ডিক্লারেশন- ২০১২ (নিরাপদ মৎস্য আহরণ ঘোষণা) বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এর অনেক বিষয়গুলো খুবই ব্যয়বহুল। আমরা মনে করি, উপকূলে নিরাপদ মৎস্য আহরণের পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সব দেশের একটি দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে এ কনফারেন্স থেকে সবাই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন হবে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সব আইন অনুসরণ করে। আমাদের প্রত্যাশা বিশ্বের সবাই আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতি মেনে চলবে। না হলে সফল হওয়া যাবে না।’

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, আইএমও’তে বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রতিনিধি ড. শাহনেওয়াজ এবং স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রেদওয়ান আহমেদ।

কনফারেন্স শেষে আগামী ২৩ অক্টোবর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ টরিমলিনো ঘোষণায় নিরাপদ ও বৈধ মৎস্য আহরণে অনুপ্রাণিত করার জন্য আনীত কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করবেন।