জাহাঙ্গীর কবির নানক দক্ষ সংগঠক এবং এদেশের পরীক্ষিত নেতা

এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এদেশের রাজনীতিতে নতুন করে জন্ম নেননি । তিনি এদেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন সংগ্রামী ছাত্রনেতা, ছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমানের একজন অনুসারী । ঘাতকরা যখন পঁচাত্তরে এদেশে কালো অধ্যায়ের রচনা করেছিল, তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবীতে রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছিল তার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবীতে যে আন্দোলন হয়েছিল সেখানে তার ভূমিকা কতোটুক ছিল সেটা এদেশ বাসী সকলেরই জানা রয়েছে । স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিল তার সক্রিয় ভূমিকা, আন্দোলনকালে নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েছেন বারে বারে, তবু সরে যাননি রাজপথ থেকে। বরং আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে।বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় যখন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করা হয়েছিল, তখন লগী বৈঠা আন্দোলনে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাইয়ের ভূমিকা আমাদের কারও অজানা নয় । এক/এগারোর কথা সকলের মনে রয়েছেতো? প্রকাশ্য রাজনীতি তখন প্রায় নিষিদ্ধ ছিল। রাজনৈতিক মেরুকরণের পরিকল্পনা হিসেবে তখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল । নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করায় তাকে কতোটা নির্যাতিত হতে হয়েছে সেটা আমাদের কারোই অজানা নয় ।

২০০৯ সালে যখন বিডিআর বিদ্রোহ হয়েছিল, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জীবন বাজী রেখে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাই এবং আজম ভাই বিডিআর জওয়ানদের কাছে আলোচনার বার্তা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন । আপনাদের মনে রয়েছে কি? সেই রানা প্লাজা দূর্ঘটনার কথা । রানা প্লাজার উদ্ধার কাজে লাশের পচা গন্ধ উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীর সাথে সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাই । আপনারা কি ভুলে গেছেন সেই দিনগুলোর কথা? এদেশে একজন জাহাঙ্গীর কবির নানক একদিনে তৈরী হয়নি, বহু ত্যাগ, বহু নির্যাতন উপেক্ষা করে তিনি সৃষ্টি হয়েছেন । আপনাদের কি একবারও মনে হয়না? এদেশ থেকে একজন জাহাঙ্গীর কবির নানক হারিয়ে গেলে, এদেশের মাটি ও মানুষ কষ্ট পাবে । জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাইয়ের প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার যে আস্হা ভালোবাসা রয়েছে, তাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে নিন্দুকেরা আজ নিজ স্বার্থের জন্য তার সমালোচনা করছেন!! এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাইয়ের জনপ্রিয়তা সেদিনই প্রকাশ পেয়েছে, সেদিনই দেশবাসী দেখছে, যেদিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন । তবে প্রশ্ন রইলো তার এতো ত্যাগ এবং ভালো গুনগুলো কি আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারেনা??

সিকদার শাওন
পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ

(ব্লগ/কলামে প্রকাশিত লেখার দায়িত্ব লেখকের নিজস্ব।)